
সিএনবাংলাদেশ অনলাইন :
ফাইল ছবি । সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবহন নেতাদের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বাসায় ওই বৈঠক হয়। বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় পরিবহন নেতাদের পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বহালই থাকছে। সমাধান খুঁজতে একইস্থানে বুধবার সন্ধ্যায় আবার বৈঠক হবে।
রাত ১১টার দিকে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ যুগ্ম আহ্বায়ক মকবুল আহমদ সমকালকে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। বুধবার সারাদেশ থেকে নেতারা আসার পর আবার বৈঠক হবে। কর্মবিরতিও চলবে। চালক-শ্রমিকরা গাড়ি চালাতে রাজি নয়। তাই কর্মসূচি প্রত্যাহার সম্ভব হয়নি।
এর আগে বুধবার সকাল থেকে পণ্যবাহী যানবাহনে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেন ট্রাক, কাভার্ডভ্যানের মালিক-শ্রমিকরা। অঘোষিত ধর্মঘটে মঙ্গলবার দেশের ২০ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ভুগছেন যাত্রীরা। রাজধানীতেও গণপরিবহন ছিল কম।
বিধিমালা প্রণয়ন না করেই গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর করা হয় বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন। গত বছর নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশব্যাপী নজিরবিহীন আন্দোলনের ফলে করা হয় এ আইন। আইনে ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গে জরিমানা বেড়েছে হাজার গুণ পর্যন্ত। বেড়েছে কারাদণ্ডও।
পরিবহন মালিক, শ্রমিকরা এতে অসন্তুষ্ট। তারা আইনটিকে কঠোর আখ্যা দিয়ে সংশোধনের দাবি করে আসছেন। গত রোববার থেকে নতুন আইন প্রয়োগ শুরুর পরদিন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেন, কোনো চাপে পিছু হটবেন না। এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই ধর্মঘটের ডাক আসে।
জনদুর্ভোগ, বাজারে অস্থিরতার আশঙ্কার মধ্যেই মঙ্গলবার ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন থেকে নতুন পরিবহন আইন স্থগিতসহ ৯ দফা দাবিতে বুধবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান বলেন, ‘মালিক-শ্রমিকদের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জরিমানার বিধান ও দণ্ড নির্ধারণ করে যুগোপযোগী, বাস্তবসম্মত ও বিজ্ঞানভিত্তিক সঠিক আইন প্রণয়ন করতে হবে।’