ট্রেন চলাচলে ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়!



পাবনা প্রতিনিধি :

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগে জনবল সংকটের কারণে ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ পদ্ধতিতে ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে নিয়মিত শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। দীর্ঘ বিলম্বে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে ট্রেন। জনবল সংকটের পাশাপাশি রেলপথের পরিধি বৃদ্ধি না করে নতুন নতুন ট্রেন চালু এবং পুরনো লাইনের সংস্কার কাজ না করায় ঘটছে দুর্ঘটনা!

রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জনবল সংকটে ৪৪টি স্টেশন ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। এসব স্টেশন বন্ধ থাকায় এই বিভাগে ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ পদ্ধতিতে ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ পদ্ধতি হলো— একটি ট্রেন যখন স্টেশন ত্যাগ করে তখন ট্রেনটি পরবর্তী স্টেশনে পৌঁছানো না পর্যন্ত ওই লাইন দিয়ে আর কোনো ট্রেন চালানো সম্ভব হয় না। ফলে বন্ধ স্টেশন অতিক্রম করার জন্য রেললাইন অবরোধ করে রাখা হয়। পরবর্তী স্টেশনে ট্রেন পৌঁছালে রেললাইন অবমুক্ত করা হয়। এই পদ্ধতিতে ট্রেন পরিচালিত হওয়ায় বারবার শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। রেলের পাকশী বিভাগে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই অচলাবস্থা। স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টসম্যানের পদ শূন্য থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র আরো জানায়, গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য রেলভবনে জানানো হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। রেলওয়ের পাকশী বিভাগে মোট ১১৩টি অপারেটিং স্টেশন রয়েছে। অবসর-জনিত কারণে পর্যায়ক্রমে এসব স্টেশনের মাস্টার ও পয়েন্টসম্যানের পদ শূন্য হওয়ায় ৪৪টি স্টেশন বর্তমানে বন্ধ। চালু আছে ৬৯টি স্টেশন। এসব স্টেশনে চুক্তিভিত্তিক মাস্টার ছিল ৪৫ জন। বিগত মার্চে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে।

রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ ভূঁইয়া জানান, অর্গানোগ্রামে নতুন জনবল নিয়োগে জটিলতা রয়েছে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর নিষেধ রয়েছে। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা আবারো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য আবেদন জানাবো।

শেয়ার করুন!