
মোঃ সামিউল আলম,বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
ছবি-সিএনবাংলাদেশ। অভিযানের শুরুটা হয়েছিল পেঁয়াজ থেকে। এরপর থেকেই একের পর এক চলছে অভিযান। কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে চাল, সবজি, মুদির দোকান সহ ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন। পাশাপাশি জিনিস পত্রের গুনগত মান যাচাই, মেয়াদত্তীর্ণ পণ্য বাজারজাত করণ ও অবৈধ মজুদ করণের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে অভিযানকালে।
সম্প্রতি পেঁয়াজের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। তবে পেঁয়াজের ঝাঁঝ কিছুটা কমলেও কমছে না সবজির দাম। তবে কেউ যেন ইচ্ছাকৃত সবজির দাম বাড়িয়ে বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার বিরামপুর হাট ও নতুন বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার মনিটরিংয়ের সময় ব্যবসায়ীদেরকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান।
এদিকে মঙ্গলবার লবন নিয়ে এক লঙ্কাকান্ড ঘটে যাওয়ায় লবনের দাম বেড়ে যাবে এমন গুজবে কান দিয়ে দুপুরের পরপরই শহরের এবং বিভিন্ন গ্রামের বাজারগুলোতে মুদি দোকানে সাধারণ মানুষের লবন কেনার হিড়িক পড়ে যায় এবং এই গুজবকে কাজে লাগিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ী লবনের দাম বাড়িয়ে দেয়। এসময় গুজব ঠেকাতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শহরের পুরাতন বাজার, হাবিবপুর বাজার, উপজেলার মুকুন্দপুর বাজার, শিবপুর বাজার, কাটলাহাট বাজার, কেটরাহাট বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অন্যদিকে গুজবে কান না দিতে এবং এই ব্যাপারে সচেতন করতে পৌর প্রশাসন ও বিরামপুর থানা কর্তৃক পুরো শহরে মাইকিং করা হয়। চলমান অভিযানের অংশ হিসাবে বুধবার সকালেও শহরের কয়েকটি বাজার মনিটরিং করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌহিদুর রহমান সিএনবাংলাদেশ-কে জানান, বাজারে লবনের কোন ঘাটতি নেই। যারা গুজবের আশ্রয় নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে সেই সব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং কাঁচা বাজারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।