
সিএনবাংলাদেশ অনলাইন :
ধর্ষণের শিকার হয়ে নিজেকে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছিলেন রুনা আক্তার। প্রবাসীর স্ত্রী রুনা এ বিষয়ে দায়ী করেছিলেন চাচা শ্বশুর মো. সফিউল্যাহ সফিকে। ফেনীর সোনাগাজী থানায় ২২ নভেম্বর একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন তিনি। কিন্তু আদালতে শুনানি শুরু হতেই রুনা স্বীকার করেন অভিযোগটি সত্য নয়। এ পর্যায়ে মঙ্গলবার আদালত বাদিকেই গ্রেপ্তারপূর্বক জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
ফেনী জেলা জজ আদালতের পিপি হাফেজ আহাম্মদ জানান, সোনাগাজীর মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ছড়াইতকান্দি গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী রুনা আক্তার। তিনি গত ২২ নভেম্বর সোনাগাজী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এতে তার চাচা শ্বশুর সফিউল্যাহকে একমাত্র আসামি করা হয়। সফি তাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতেন এবং এক পর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেন রুনা। এতে তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন। মামলা গ্রহনের পর পুলিশ সফিকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। আসামি সফিউল্যাহর পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবি। মামলার বাদি রুনা আক্তার আদালতে বলেন, ‘আমি মামলা করতে চাইনি। আমার শাশুড়ি মিথ্যা মামলা করতে বাধ্য করেছেন।’
বাদি রুনা আক্তারের বক্তব্য শোনার পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত চাচা শ্বশুর সফির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
জামিন পাওয়ার পর সফিউল্যাহ সফি বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবেন।’