রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাপান: রাষ্ট্রদূত



সিএনবাংলাদেশ অনলাইন :

ছবি: সংগৃহীত । কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে নিরাপদ পরিবেশে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক সমর্থন খুবই প্রয়োজন। এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নে জাপান সরকার বাংলাদেশের পাশে থাকবে। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিস এবং রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক ৩২৮১। অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ ইন ইন্টারন্যাশনাল পিসবিল্ডিং: ডিসকোর্সেস ফ্রম জাপান অ্যান্ড বিয়ন্ড’ নামক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাওকি ইতো।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সম্প্রতি পূর্ব এশিয়া সামিটে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, জাপান আশা করে, মিয়ানমার সরকার এবং সে দেশের সেনাবাহিনী একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে দ্রুত সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। নাওকি ইতো আরও বলেন, রোহিঙ্গারা নিঃসন্দেহে মিয়ানমারের নাগরিক। জীবন বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তারা। এত বড় মানসিকতার পরিচয় দেওয়ায় বাংলাদেশকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা উচিত বিশ্ব সম্প্রদায়ের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যা ভুটানের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। তবে এখানে তারা শান্তিতে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাস করে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রোটারি ক্লাবের সাবেক সভাপতি এয়ার কমডোর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী। বক্তব্য দেন লে. জে. মঈনুল ইসলাম, বিসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আব্দুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ উদ জামান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এম মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন!