
অরুন সরকার :
লগো ও জেলা ম্যাপ ছবি। ঝুলে আছে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটির সম্মেলন। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা থাকা সত্বেও সিলেট জেলা ও মহানগর আ’লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও রহস্যজনক কারনে এনিয়ে নিরব ভুমিকা পালন করছেন। সিলেটের অন্যান্য উপজেলা কমিটির সম্মেলন সূ-সম্পন্ন করতে পারলেও জৈন্তাপুর উপজেলা কমিটি গঠনে আজ তারা ব্যর্থ। এনিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। এর একমাত্র কারন হিসেবে মধ্যখানে দাঁড়িয়ে আছেন জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বির্তকিত কর্তা দুর্নীতিবাজ রাজাকার পুত্র এম লিয়াকত আলী।
অবৈধ পন্থায় বাড়ি,গাড়ি সহায় সম্পত্তি গড়ে তোলা লিয়াকত আলীর ফাঁদের কারনেই থমকে রয়েছে উপজেলা কমিটির এসকল কার্যক্রম। এই পর্যন্ত তিন দফা তারিখ পেছালো উপজেলা কমিটি গঠনের সময়সীমা। গত নভেম্বর মাসের ২০তারিখে এ কমিটি গঠিত হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্যবশতঃ কারন দেখিয়ে তা পরবর্তী ২৮ তারিখে সম্মেলন সম্পন্ন করার দিন তারিখ ধার্য্য করা হয়। অথচ সেই তারিখেও কোন কার্য্যক্রম ছাড়াই বেস্তে যায় সম্মেলনের বিষয়টি। এরপর গুজব রটায় গতকাল পহেলা ডিসেম্বর কমিটি অনূমোদন হতে পারে। কিন্তু রহস্যজনক কারনে কমিটি গঠনের কোন হদিস মিলছে না আদৌ।
এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, আগামী ৪ ডিসেম্বর সিলেট জেলা-মহানগরের শীর্ষ স্থানীয় নেতাকর্মীরা জৈন্তাপুর উপজেলা কমিটি নিয়ে কোন না কোন সিদ্ধান্ত দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। এমনটি সত্যতার গুজবও ছড়িয়ে পড়েছে গোঠা জৈন্তাপুর উপজেলায়। এছাড়াও গুজব রটিয়েছে সিলেট জেলার এক শীর্র্ষ নেতার তাবেদারীর খবরও। জৈন্তাপুর কমিটিকে পকেট কমিটি বানিয়ে এ নেতা কাগজে কলমে বাণিজ্য চালিয়ে কমিটি অনুমোদন দিতে পারেন। এরমধ্যে একজন হলেন, সিলেট জেলা আ’লীগ নেতা-সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি রাজাকার পুত্র এম লিয়াকত আলীকে স্বপদে বহাল রাখতে বিশেষ তাবেদারী করছেন বলে স্থানীয় উপজেলায় গুজব চাউড় হয়েছে।
জৈন্তাপুর, ম্যাপ ছবি।
তবে জৈন্তাপুর উপজেলায় খুঁজ নিয়ে দেখা যায়, শীর্ষ দুর্নীতিবাজ লিয়াকত আলীর পক্ষে তেমন কোন সাড়া শব্দ নেই। তার পোষা হাতেগুণা বাহিনীর কয়েকজন কর্তাব্যক্তি ছাড়া অন্যরা সবাই ভিন্নমত পোষণ করছেন। রাস্তাঘাট হোটেল রেস্তোরায় এখন শুধু ওই আলাপ ছাড়া অন্য কোন আলাপ নেই। অনেকের কথায় বুঝা যায় লিয়াকত আলী এর পুর্বেও প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয় ও কৌশল অবলম্বন করে কেন্দ্র হতে ‘নৌকা প্রতিক’ নিয়ে আসে এবং জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়। তখন সহযোগীতায় ছিলেন সিলেট জেলা আ’লীগের একাধিক অসাধু শীর্ষ স্থানীয় নেতাকর্তা। তাদেরকে পকেটবুক করে হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়ে থাকে বির্তকিত কর্তা ওই লিয়াকত। সেই লিয়াকতের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে হচ্ছে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেকে আত্মরক্ষা করা।
লিয়াকত আলী, ছবি সংগৃহীত।
যদিও ইতিমধ্যে লিয়াকতের বিরুদ্ধে খুন, রাহাজানি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, ভূমি দখল, শুল্ক ফাঁকি ও সাংবাদিক নির্যাতন হয়রানীর বিস্তর অভিযোগ সরকারের মন্ত্রনালয়ে তুলে ধরেছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। এতকিছুরপর লিয়াকত আলীকে বিশাল তবিয়তে রাখতে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের একটি সিন্ডিকেট বাণিজ্যেক গ্রুপ তৎপড় রয়েছে। এনিয়েও স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কিন্তু আজও কেউ জানেন না এই কমিটির ভবিষ্যত বাণী কি?