ঘূর্ণিঝড় বুলবুল: ২৪ জেলেসহ নৌকাডুবি, ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার




ভোলা প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ভোলায় দমকা হাওয়াসহ মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছ-পালা উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শনিবার রাতের টর্নেডোতে লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় বিধ্বস্ত হয়েছে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন।

অপরদিকে ভোলার ইলিশা মেঘনা নদীতে চরফ্যাশনের তোফায়েল মাঝির নৌকাডুবিতে ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। নিখোঁজ বাদে আরো একজনের লাশ মেহেন্দিগঞ্জ এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন ভোলা। তার নাম মো. খোরশেদ আলম (৫৫)। তিনি চরফ্যাশনের আহমেদপুর ইউনিয়নের নূরানিবাদ গ্রামের বাসিন্দা বলেন জানা যায়।

আরো জানা যায়, সর্বমোট ২৪ জন জেলে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ভোলা আসার পথে ইলিশা ও মেহিন্দগঞ্জ এলাকায় প্রবল ঢেউয়ের তলে তলিয়ে যায়। পরে ১০ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যায়।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, আট দিনে আগে সাগরে মাছ ধরে তা বিক্রি করার জন্য চট্টগ্রাম যায় তোফায়েল মাঝির নৌকাটি। পরে গতকাল চট্টগ্রাম থেকে ভোলা আসার পথে ইলিশা মেঘনা নদীতে দুর্ঘটনায় পরে এ ফিশিং বোটটি।

এদিকে লালামোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি জানিয়েছেন, শনিবার রাত ১০টার কাছাকাছি সময়ে উপজেলার গজারিয়া ও লর্ডহাডিঞ্জের পেয়ারীমোহন গ্রামে ঝড়ের কবলে পড়ে অন্তত ২৫-৩০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘর ও গাছ চাপায় ১৫ জন আহত হয়েছে।
আহতদের তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে ভোলা সদর, লালমোহন ও চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তারেক নামের একজনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তিনি জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।

এদিকে ভোলা নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, ভোলার সঙ্গে ঢাকার শনিবার ও রবিবার দুদিন লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া আন্তঃজেলা ভোলা বরিশালসহ সকল যোগাযোগ তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে।

শেয়ার করুন!