
স্পোর্টস ডেস্ক :
ছবি : এএফপি । গ্লাভস হাতে ক্যাচ ছাড়ার জন্য কিংবা স্টাম্পিং মিস করার জন্য এই মুশফিকুর রহিমের কত সমালোচনা হয়েছে। সেই মুশফিকুর রহিম এবার একবার নয়, দুইবার নয়, তিন তিনবার বেঁচে গেলেন ক্যাচ দিয়ে! তিনবারই তিনি খুব সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতীয় ফিল্ডাররা একটাও ধরতে পারেননি। একেই বলে কপাল! মুশফিককে হারালে বড় ক্ষতি হতো বাংলাদেশের। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে টিম টাইগার।
ব্যক্তিগত ৩ রানে প্রথমবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান মুশফিক। ততক্ষণে ৩১ রানে ৩ উইকেট পড়ে গেছে বাংলাদেশের। উমেশ যাদবের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট পেতে দিয়েছিলেন মুশফিক। বাজে শট, ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় তৃতীয় স্লিপে বিরাট কোহলির ডানদিকে। কিন্তু বল তালুবন্দি করতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক।
লাঞ্চের পরপরই দ্বিতীয় দফায় জীবন পান মুশফিকুর রহিম। তখন মুমিনুল হকের সঙ্গে তার জুটি জমে গেছে। বোলার এবার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এবারও ক্যাচ পড়ল স্লিপে। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বল টার্ন করবে ভেবে ডিফেন্স করেছিলেন মুশফিক। কিন্তু বল টার্ন না করে স্কিড করে ব্যাটের কানায় লেগে বুক সমান উচ্চতায় যায় স্লিপে। এবার মুশির ক্যাচ ছেড়ে দেন আজিঙ্কা রাহানে। মুশফিক তখন ১৫ রানে ব্যাট করছিলেন।
‘দানে দানে তিন দান’ কথাটি প্রচলিত থাকলেও তৃতীয় দফাতেও ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান মুশফিক। ব্যক্তিগত ৩৪ রানে অশ্বিনের দুর্দান্ত এক ডেলিভারি তার গ্লাভসে লেগে চলে যায় উইকেটকিপারের কাছে। কিন্তু লাফানো বলটি হাতে জমানো উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহার জন্য ছিল একটু কঠিনই ছিল। যথারীতি তিনি ব্যর্থ হন। তার কিপিং প্যাডের ওপর লেগে বল পড়ে মাটিতে। এর পরপরই মাহমুদউল্লাহকে (১০) রবিচন্দ্রন অশ্বিন বোল্ড করে দিলে ১১৫ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।