১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)




সিএনবাংলাদেশ ডেস্ক:

ছবি : সংগৃহীত। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ সোমবার আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আবার এই দিনেই তিনি ওফাত নেন।

একটা সময় গোটা আরব জাহান ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলো। মানুষ হয়ে পড়েছিলো বেদ্বীন। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিলো। সর্বত্র দেখা দিয়েছিলো অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াত। তখন মানুষ মারামারি আর হানাহানিতে লিপ্ত ছিলো এবং মূর্তি পূজা করতো। তখন মহান আল্লাহ পাক মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বজগতের রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন। তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। এরপর বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও শান্তির পথে আহ্বান জানান। সব ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন তিনি। এরপর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) দীর্ঘ ২৩ বছর এ বার্তা প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ওফাত গ্রহণ করেন।

বিশ্বে অনান্যদেশের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও যাথাযথ মর্যদায় দিনটি পালন করবে। দিনটি উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা ও কোরআন খতমসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, মসজিদ ও মাদরাসা।

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে তাঁরা দেশের জনগণ ও বিশ্বের মুসলমানদের ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন!