
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :
সিলেটের বিশ্বনাথে সওজ’র জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করেছেন যুক্তরাজ্যের বার্মিহাম যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জানাইয়া গ্রামের বাসিন্দা শফিকুর রহমান। এতে গড়ে তোলা হয়েছে টিনসেডের একটি ঘর। কিন্তু রহস্যজনক কারনে সওজের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নিরব ভুমিকা পালন করছেন।
জানা গেছে, উপজেলা সদর থেকে বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে রাজার খাল। সেই খালটি ভরাট করে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রভাবশালী লোকেরা দখল করে একের পর এক স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে। খালটির বেশির ভাগ অংশই এখন ভরাট করে দখলে রেখেছে ভুমিখেঁকোর দল। ভরাট আর দখলের কারণে খালটি সওজের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে গেছে বলা যায়। কারণ নেমে না থাকা অবৈধ দখল বা স্থাপনা উচ্ছেদে সওজের কোন কার্যক্রমই নেই। তাই অবাদে দখল হচ্ছে ‘রশিদপুর থেকে বিশ্বনাথ হয়ে লামাকাজী’ পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)’র জায়গা। আর ওই দখল প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় যুক্তরাজ্যে বার্মিহাম যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান জানাইয়া এলাকায় সম্প্রতি বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কের পার্শ্বে থাকা সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে তিন কক্ষ বিশিস্ট একটি টিনসেডের ঘর নির্মাণ করেছেন। আর ওই অবৈধ স্থাপনার পিছনেই রয়েছে তার বসবাসের ঘর। সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণ করে তিনি আবার গত সপ্তাহেই পাড়ি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যে।
এলাকাবাসী জানায়, বর্তমানে এ সড়কে পার্শ্বে থাকা সরকারি জায়গা দখলের মহোৎসব চলছে। অভিলম্ভে সরকারি জায়গায় নির্মিত স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাজে জোরদাবি জানান এলাকাবাসী। কারণ এখনই অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ না করা হলে ভবিষ্যতে তা উচ্ছেদ করা অনেক জটিল হয়ে পড়বে।
যুক্তরাজ্যে থাকার কারণে এব্যাপারে অভিযুক্ত যুক্তরাজ্যের বার্মিহাম যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
দখলের বিষয়টি জানা নেই দাবি করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল মজিদ বলেন, তদন্ত সাপেক্ষ এব্যাপারে দ্রুত আইনানুগ প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে প্রতিবেদকের কাছে জানিয়েছেন।