Sex Cams

চোরাকারবারীদের কবলে সিলেটের কানাইঘাট থানা পুলিশ!



জুনেদ আহমদ চৌধুরী, নিজস্ব প্রতিবেদক :

চোরাকারবারীদের কবলে সিলেটের কানাইঘাট থানা পুলিশ। কোন পাত্তাই দিচ্ছেনা পুলিশের অভিযানকে। অবৈধ প্রবেশদ্বার সড়কের বাজার বন্ধে একাধিকবার পুলিশ অভিযান চালালেও রহস্যজনক কারনে পাত্তা দিচ্ছেনা সিন্ডিকেট চোরাকারবারীরা। বরং আরো বেশি তৎপড় হয়ে ওঠেছে চোরাকারবারীরা। অভিযোগ ওঠেছে বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড (বিজিবি)’র বিরুদ্ধেও। সীমান্ত রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব বিজিবি’র থাকলেও বাস্তবরুপ ভিন্ন। তারা সীমান্ত রক্ষায় ব্যর্থতায় পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। তাদের গাফলতির কারনে উপজেলার ‘ডনা ও মূলাগুল’ জিরো পয়েন্ট এলাকা হয়ে অবাধে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বিভিন্ন ধরণের ভারতীয় পণ্য। সেই পণ্য সড়কের বাজার হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রেরন করা হচ্ছে। চোঁখের সামনে শুধু ভাসমান রয়েছে নিষিদ্ধকৃত মোটাতাজাকরন ভারতীয় গরুর চালান। অথচ অন্যান্য ভারতীয় পণ্যগুলো আইনশৃংখলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরিবহণযোগে প্রেরন করা হচ্ছে দেশের আনাচে কানাচে। এসকল পণ্যে সরবরাহ করার পেছনে কাজ করছে স্থানীয় এলাকার গোঠা কয়েকজন চোরাকারবারী। এছাড়াও বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আগত কতিপয় অসাধু সিন্ডিকেট চোরাকারবারীর আনাগুনাও রয়েছে এসব এলাকায়। এই চোরাকারবারীর বেশ ক’টি আস্তানা তৈরী করেছে সড়কের বাজারে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সীমান্তবর্তী ডনা এলাকায় রয়েছে চোরাই পথের একটি গোপন সুরঙ্গপথ। সেই পথ দিয়ে প্রতিরাতে চোরাই ব্যাবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র,মাদক,গাজা,শাড়ি,গরু ও বিভিন্ন বয়সের নারী পাচার সহ হরেক রকম পণ্য অবাধে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করছে। এতে ঝুঁকিয়ে পড়ছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। কিন্তু সেই চোরাকারবারীদের আস্তানা গুড়িয়ে দিতে ইতিমধ্যে কানাইঘাট থানা পুলিশ প্রশাসন একাধিকবার সড়কের বাজারে অভিযান চালালেও কোন ভাবেই থামছেনা সিন্ডিকেট চোরাকারবারীদের রমরমা ব্যবসা। পুলিশ প্রশাসন চোরাকারবারীদের বন্ধে এগিয়ে আসলেও আদৌ পর্য্যন্ত বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড (বিজিবি) এগিয়ে আসেনি। এনিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখোঁমুখি রয়েছে বিজিবি।

“নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সড়ক বাজার এলাকার এক প্রবীণ মুরব্বি জানান, সড়ক বাজার বন্ধ করতে পারলে কিছুটা হলেও চোরাকারবারীদের আনাগুনা বন্ধ হবে। এসময় তিনি প্রতিবেদককে জানান, এখন সময়ে অসময়ে অনেক বড় বড় মালবাহী ট্রাক, মিনি ট্রাক ও পিকআপ থামানো দেখা যায় সড়কের বাজারে। অতীতে কোনদিন এ গাড়িগুলো অবস্থান করতে দেখা যায়নি। সড়ক বাজার হওয়ার পর এ গাড়িগুলো সাড়ি বেধে দাঁড়িয়ে রাখা হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। চোরাকারবারীদের সাথে এই গাড়িগুলোর চালকদেরও রয়েছে গভীর সখ্যতা। তাদের ঈশারায় ভারতীয় পণ্যগুলো এসকল গাড়িতে করে চালান দেয়া হয় দেশের নানান প্রান্তে। মাঝেমধ্যে কাভারভ্যাণ কন্টেইনার গাড়িও এসব মালামাল সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়। তিনি বলেন, এ গাড়িগুলো অন্যকোন কাজে ব্যাবহার করা হয়না, শুধুমাত্র চোরাই পণ্য পাচারের জন্য সড়ক বাজারে আসে।”

অন্যদিকে বিশ্বস্থ একটি সূত্র জানায়, সড়ক বাজার গড়ে ওঠে মুলতঃ সিন্ডিকেট চোরাকারবারীদের হাত ধরেই। তারা সীমান্তবর্তী এলাকার (বিজিবি), গোলাপগঞ্জ থানা ও বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে মাসোহারা বড় অংকের বখরা দিয়ে অবাধে পাচার করছে এসব ভারতীয় পণ্য। এ থেকে প্রতিদিন হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা চাঁদা। যদিও থানা পুলিশের কাছে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি জানতে চাওয়া হয় তাহলে বরাবরের মতো তারা সোজা চ্যাপ্টা অস্বীকার করে বসেন। আসছে ফলোআপ……

শেয়ার করুন!