সিলেটে ক্ষুধার জ্বালা মেঠাতে পচা দূর্গন্ধ বাছি খাবার বেঁচে নিলো মানব!



অরুন সরকার :

ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছেন জামাল আহমদ, সিএনবাংলাদেশ। সারা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের আক্রমনে লাশের পর লাশ আর আক্রান্ত রোগির সংখ্যা বাড়ছে সেই মুহুর্তে সিলেট নগরীতে ক্ষুধার জ্বালা মেঠাতে পচা দূর্গন্ধ বাছি খাবার খেতে দেখা গেছে এক মানবকে। এযেন এক হ্নদয় বিদারক দৃশ্য।

‘বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও চলছে লক ডাউন। এমনি অবস্থায় অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে কত মানুষ কেউ তার খবর রাখছে না। নজিরবিহীন এরকম একটি ভয়াবহ চিত্র ফুটে উটেছে এই ছবিতে। দেখা যায় ক্ষুধার জ্বালা মেঠাতে গিয়ে রাস্তার পাশে ফেলা পচা দূর্গন্ধ বাছি খাবার কুড়ে কুড়ে খেয়ে বেঁচে থাকার প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছেন এই যুবক। কে কার খবর রাখে। এই দৃশ্য দেখে হু হু করে মনটা কেঁদে উটলো। প্রশ্ন জাগলও সত্যিই কি আমরা কোন স্বাধীন দেশে বসবাস করছি?’

এ ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সিলেট নগরীর লালদিঘীর পাড় হকার্স মার্কেটের ১নং-গলির মোড়ে বিকেল চারটার দিকে । দৃশ্যটি দেখে মনে হলো এটাও কি সম্ভব? একজন মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে না খেয়ে মরতে বসেছে তার খুজ খবর কেউ রাখছে না। লক ডাউনের কবলে পড়ে সেই ব্যক্তি পচা দূর্গন্ধ বাছি খাবার খেয়ে ক্ষুধা নিবারন করছে। জীবণ-মরণ লড়াইয়ের সন্ধিঃক্ষণে তিনি এক সৈনিক যুদ্ধা বললেও চলে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এই মানব পথিকদের কি ব্যবস্থা রেখেছেন সেটাও প্রশ্নবিন্দ? অথচ সরকারি ত্রাণ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত নগরে পৌছে দেওয়া হচ্ছে অনায়াসে। কিন্তু পিছু টানছেনা ক্ষুধা নামক সেই পেটের কালো থাবা।

ইতিমধ্যে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মহামারী দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি রয়েছে বলে অসনিসংকেত দিয়েছে জাতিসংঘের (ডব্লিউএফপি)। অবশেষে সেই সতর্কবার্তা কি সত্যি হতে চলেছে না সেটা আগাম কোন সতর্কবাণী। বিশ্বের প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ এখনি দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি’র তালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছে (ডব্লিউএফপি) জাতিসংঘ। তাহলে কি তার একটি নমুনা মাত্র এই চিত্র, ঈশারা ইঙ্গিত দিলো কোনটি? শেষ পর্যন্ত্য কি বাংলাদেশে এসে হানা দিচ্ছে এই দুর্ভিক্ষ। এ করুন পরিণতি যে মেনে নেওয়ার মতো নয়। লক ডাউনের মধ্যে অনাহারে না খেয়ে মরতে বসেছে সেই নিম্ন শ্রেণী আয়ের পথহারা পথিক’রা। সেই হাহাকার থামাবে কে?

শেয়ার করুন!