হংকংয়ে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়, চলছে হামলা-পাল্টা হামলা



সিএনবাংলাদেশ ডেস্ক :

ছবি : সংগৃহীত ।আরও উত্তাল হয়ে উঠেছে হংকং। দেশটির পুলিশ শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও করে রেখেছে। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরাও থেমে নেই। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে তির ও পেট্রল বোমা ছুড়ে মারছে। আন্দোলনকারীদের ছোড়া তিরের আঘাতে হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যোগাযোগ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

হংকং পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, তারা এসব অস্ত্র ছোড়া বন্ধ না করলে পুলিশ গোলাবারুদ ব্যবহার করতে বাধ্য হবে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, কয়েক মাস ধরে চলা সরকারবিরোধী আন্দোলনে হংকং শহরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলন শুরুর পর স্বায়ত্বশাসিত চীনা এ অঞ্চল সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। হংকং পুলিশ উগ্রবাদী আন্দোলনকারীদের ‘লক্ষ্য’ করেছে। তারা পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন থামাতে টিয়ার গ্যাস ও জল কামান ব্যবহার করছে।

পুলিশের তরফ থেকে গতকাল রোববার সন্ধ্যার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে আন্দোলনকারীদের চলে যেতে বলা হয়েছিল। আন্দোলনকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হলেও আজ সোমবার সকালেও অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অবস্থান করছেন। পুলিশ তাদের জোর করে সরাতে গেলে ব্যাপক প্রাণহানি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হংকং পুলিশের মুখপাত্র লুইস লাও বলেন, ‘আমি দাঙ্গাকারীদের সাবধান করে দিচ্ছি তারা যেন পেট্রল বোমা, তির, গাড়ি বা অন্য কোনো মারণাস্ত্র দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের আঘাত না করে। যদি তারা এমন বিপজ্জনক কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন তবে আমরা পাল্টা আঘাত হিসেবে গুলি চালাতে বাধ্য হবো।’

পুলিশের এ কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি দিলেও ইতিমধ্যেই তারা গতকাল রোববার গুলি চালিয়েছে। এর কারণ হিসেবে পুলিশ বলছে, একটি গাড়ি পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে বেপরোয়াভাবে এগিয়ে আসতে গেলে তারা গুলি করতে বাধ্য হয়েছেন।

তাইওয়ানের সঙ্গে হংকংয়ের করা ‘বহিঃসমর্পণ’ বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এ আন্দোলন শুরু করে হংকংবাসী। এ চুক্তি বাস্তবায়িত হলে তাইওয়ানের সঙ্গে হংকং থেকে বন্দী বিনিমিয় করতে পারবে চীন। এ চুক্তির পেছনে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লামের যোগসাজস রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন আন্দোলনকারীরা। স্বায়ত্বশাষিত হংকংয়ের বড় বড় সিদ্ধান্ত চীনই নিয়ে থাকে।

শেয়ার করুন!