নোয়াখালীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ১৫



নোয়াখালী প্রতিনিধি :

নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে ও শহরের বিভিন্ন স্থানে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় বিএনপির অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। ঘটনার সময় পুলিশ তিনজনকে আটকও করে। এক পর্যায়ে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ পন্ড হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমবেত হয়। বেলা ১১টার দিকে একটি মিছিল আসলে পুলিশ মিছিলে বাঁধা দেয়। মুহূর্তের মধ্যে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কিছুক্ষণ পর শুধু নোয়াখালী প্রেসক্লাবে নয় শহরের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশও পণ্ড হয়ে যায়।

পরে দুপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের মাইজদী রশিদ কলোনিস্থ বাস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় নেতৃবৃন্দ জানান, পুলিশ বিনা উসকানিতে তাদের মিছিলে বাধা দেয় এবং নেতাকর্মীদের লাঠি চার্জ করে। এতে তাদের ১৫ থেকে ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়। এছাড়া পুলিশ তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্যাহ আল নোমান, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খানসহ অনেকে।

এ বিষয়ে সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল বাতেন জানান, সমাবেশ করার কোনো অনুমতি ছিল না বিএনপির। তারপরও তারা সমাবেশ করছিল। কিন্তু হঠাৎ মিছিল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে, পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে মাত্র।

শেয়ার করুন!