বিভিন্ন স্থানে ৩ শিশু ধর্ষণ, ২ শিক্ষক গ্রেফতার



সিএনবাংলাদেশ অনলাইন :

প্রতীকী ছবি । চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও কক্সবাজারের টেকনাফে অপর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে সাতক্ষীরায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু ও পটুয়াখালীতে চার বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ মামলায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে। এ ছাড়া গাজীপুরের কালীগঞ্জে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে শরিফুজ্জামান নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শহরে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত শরিফুজ্জামান সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার রাজনগর গ্রামের শেখ ওহিদুজ্জামানের ছেলে ও সাতক্ষীরা পলিটেকনিকের ছাত্র।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শনিবার সন্ধ্যায় শিশুটি বাড়ির পাশে খেলা করছিল। তার পাশে একটি ছাত্রাবাস আছে। অভিযুক্ত শরিফুজ্জামান শিশুটিকে ফুসলিয়ে তার রুমের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি বাড়ি গিয়ে তার পিতা-মাতার কাছে ঘটনাটি বললে তারা সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার গভীর রাতে অভিযুক্ত শরিফুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিশুটিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর লাউকাঠিতে চার বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি কিশোর মো. কাইয়ুম গাজী অবশেষে সাড়ে তিন মাস পর র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার লাউকাঠি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে কাইয়ুম গাজীকে গ্রেফতার করেন র‌্যাব সদস্যরা।

র‌্যাব-৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক মো. রইছ উদ্দিন জানান, গত ৮ আগস্ট কাইয়ুম গাজী শিশুটিকে ঠোটার বাজারের পাশে মসজিদের পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্ত কাইয়ুম গাজী পালিয়ে যায়। এ ঘটনার তিন দিন পর শিশুটির মা বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

কালীগঞ্জ (গাজীপুর):
কালীগঞ্জে হতদরিদ্র এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামে গত মঙ্গলবার ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত মাসুম মিয়া বড়গাঁও গ্রামের বুরুজ মেম্বারের ছেলে।

রোববার দুপুরে কালীগঞ্জ থানার এসআই মো. মছিউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়ে এলাকায় এসে ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত যুবক ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম):
চট্টগ্রামে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় সীতাকুণ্ডে এক স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় মামলা করে। রাতেই পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. তারেক হোসেন। তিনি উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জহির আহমেদের ছেলে।

থানায় মামলা সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড বালিকা বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক তারেক হাসান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত জুলাই মাসে তারেক মেয়েটিকে বেড়াতে নিয়ে যায় চট্টগ্রামের ফয়’স লেকে। সেখানে সুযোগ বুঝে নির্জন পাহাড়ে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর থেকে তারেক হাসান ওই ছাত্রীকে এড়িয়ে চলতে থাকে। এ অবস্থায় মেয়েটি তার মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বলে। এরপর তার মা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। সর্বশেষ গত শনিবার রাতে মেয়েটি মায়ের সঙ্গে থানায় উপস্থিত হয়ে ধর্মীয় শিক্ষক তারেক হাসানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

টেকনাফ (কক্সবাজার):
টেকনাফে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোরবার সকালে ওই শিক্ষককে কপবাজার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্যারা শিক্ষক ও সাবরাং দক্ষিণ নয়াপাড়ার জহির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ সিফাত। এর আগে শনিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

সিফাত দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্যারা শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিল। স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি সিফাত বিভিন্ন বাসাবাড়িতেও ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ায়। সম্প্রতি এক ব্যক্তি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে।

শেয়ার করুন!