
নিজস্ব প্রতিবেদক :
আট জুয়াড়ী-ছবি। সরকারের মাদক-জুয়া অভিযানের অংশ হিসেবে সিলেটের জৈন্তাপুরে পুলিশ পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে ৮ জুয়াড়ী ও পাঁচ মাদক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে । এরমধ্যে উপজেলার ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়ন থেকে ৮জুয়াড়ী ও ৪নং-ধরবস্ত ইউনিয়ন থেকে ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, শনিবার (২৩ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার হেমু ভাটপাড়া গ্রামের সালেক মিয়ার বসতঘরে অভিযান চালিয়ে ৮ জুয়াড়ীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হেমু মাঝপাড়া গ্রামের মৃত আজিদ আলীর ছেলে হারুন (৩০),হেমু দত্তপাড়া গ্রামের তজই মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন (২৮), মৃত হারিছ মিয়ার ছেলে আজগর আলী (২৭),মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে মাসুক আহমদ ((৩৪),হেমু ভাটপাড়া গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে সোহেল আলী (২২),হেমু মাঝপাড়া গ্রামের সোয়াব আলীর ছেলে আব্বাস আলী (২৬),হেমু মাঝরটুল গ্রামের মৃত আব্দুল খালিক গুনি মিয়ার ছেলে সোহেল পীর (২৭।
এসময় জুয়াড়িদের কাছ থেকে এক হাজার একশত নব্বই টাকা ও তাস খেলার সরঞ্জামাধি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ধৃত ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় ১৮৬৭ সনের প্রকাশ্য জুয়া আইন ৩/৪ ধারায় একটি মামলা রুজু করে পুলিশ। যার মামলা নং-২৪।
এদিকে ওইদিন পৃথক আরেকটি অভিযানে ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। উপজেলার ৪নং-ধরবস্ত ইউনিয়নের সরুফৌদ গ্রামের আলিম উদ্দিনের দোকানের সামনে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পাঁচ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-মইনা গ্রামের মৃত অলিউর রহমানের ছেলে সারোয়ার হোসেন সোহাগ(৩০),নয়ামাটি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান(২১),কানাইঘাট থানার গাজীপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে রোহেল আহমেদ (২২),মৃত মোবারক আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন (২৮) ও গোয়াইনঘাট থানার ইসলামাবাদ গ্রামের জিলাল উদ্দিনের ছেলে ফখর উদ্দিন (১৯)।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছে হেফাজতে থাকা ২কেজি গাঁজা এবং একটি সিএনজি চালিত অটোরিকসা উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে আরো একটি মামলা রুজু করে পুলিশ। যার মামলা নং-২৬। তাদেরকেও রবিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের সত্যতা সিএনবাংলাদেশ’কে নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক। তিনি বলেন, জুয়া এবং মাদক ঝুঁকিতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোক জড়িয়ে পড়ছিল। তাই সমাজের অবক্ষয় রোধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।