
স্টাফ রির্পোটার :
সিলেটের শাহ আরফিন টিলায় দু’শ্রমিক হতাহতের পর অবশেষে সোমবার ট্রাস্কফোর্স একটি অভিযান পরিচালনা করেছে । এসময় ইঞ্জিন চালিত ২৭টি লিস্টার মেশিন, ১টি ট্রাক্টর, ১১হাজার ফুট প্লাস্টিক পাইপসহ অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন ও পরিবহন কাজে ব্যবহ্নত প্রায় ৭০লক্ষ টাকার সরঞ্জামাধি পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। তখন ট্রাস্কফোর্সের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। পরে টিলায় স্থাপিত শ্যালো মেশিন, পাইপ ও আনুষাঙ্গিক মালামাল ভেঙ্গে ও পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়।
সোমবার দূপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। এছাড়াও পাথর পরিবহনে ব্যবহৃত ৫টি ট্রাক্টরের চাকা ফুটো করে দেয়া হয় এবং দুটি বিশাল ঝুকিপূর্ণ পাথরের গর্তের বাধ ভেংগে দিয়ে পানি প্রবেশ করিয়ে সিলগালা করে দেয়া হয়।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্যের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা এ অভিযানে অংশ নেয়।
এদিকে গত রোববার বিকালে শাহ আরেফিন টিলায় বহুল আলোচিত উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদের জামাতা মামুন চৌধুরী ও তার ভাই হাসনু চৌধুরীর পাথরের গর্তে আব্দুল আউয়াল (৪০) নামের এক শ্রমিক পাথর চাপায় নিহত হন এবং আরও একজন আহত হন। নিহত পাথর শ্রমিক আব্দুল আওয়াল সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্বপুর উপজেলার মেরুয়াখলা গ্রামের মৃত মুত্তালেব মিয়ার ছেলে। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার টুকের বাজার এলাকার বউ বাজারে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয়রা জানায়, এ ঘটনার আগেও মামুন চৌধুরী ও হাসনু চৌধুরীর গর্তে কয়েক দফায় একাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।এরপরও গর্ত মালিকরা জোর করে শ্রমিকদের পাথর উত্তোলন করতে বাধ্য করত বলে জানায় স্থানীয়রা।
শ্রমিক নিহতের ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।