
সিএনবাংলাদেশ ডেস্ক :
ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলার মামলায় সাত আসামিকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। বিভিন্ন গণমাধ্যমে রায়কে ‘যুগান্তকারী’, ‘মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ রায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতির বহির্প্রকাশ। বিবিসি, রয়টার্স, সিএনএন, এএফপি, ওয়াশিংটন পোস্ট, আলজাজিরা, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ খবর ফলাও প্রকাশিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট শিরোনাম দিয়েছে, ‘ক্যাফে হামলায় ৭ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশ।’ বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার ক্যাফেতে হামলা চালিয়ে বেশিরভাগ বিদেশিসহ ২০ জনের বেশি লোককে হত্যার দায়ে ৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সিএনএন শিরোনাম দিয়েছে, ‘বাংলাদেশে রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকায় ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড’।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ঘটনায় বিচারাধীন ৮ জনের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় আইএসের পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করা হলেও বাংলাদেশের দাবি, স্থানীয় জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ওই হামলা চালিয়েছে।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ৭ জঙ্গিকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রায় ঘোষণার পর দোষী সাব্যস্ত আসামিরা আদালতেই ‘আল্লাহু আকবর’ বলে ওঠে।
বার্তা সংস্থা এএফপির শিরোনাম, ‘২০১৬ সালের ক্যাফে হামলার ঘটনায় ইসলামী জঙ্গিদের মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশ’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ আদালতে রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক বলেছেন, হামলাকারীরা ‘আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে’ চেয়েছিল। তারা ‘জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে নৈরাজ্য সৃষ্টির মধ্য দিয়ে একটি জিহাদি রাষ্ট্র’ নির্মাণে সচেষ্ট ছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই হামলা ছিল মডারেট মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ওপর বড় ধাক্কা।
ভারতের এনডিটিভি অনলাইনে শিরোনাম দিয়েছে, ‘ঢাকায় ক্যাফেতে হামলায় ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড।’ আলজাজিরার খবরে এ রায়কে ‘একটি মাইলফলক’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের একজন নিরাপত্তা বিশ্নেষককে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আইনগতভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির বহির্প্রকাশ ঘটাল।
এছাড়া টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য চায়না পোস্ট, স্ট্রেইট টাইমসসহ বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমের অনলাইনে গুরুত্বের সঙ্গে খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে।