
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত স্ক্রিনশট ছবি-সিএনবাংলাদেশ।
সিএনবাংলাদেশ প্রতিবেদক :
জৈন্তাপুরে স্কুল ছাত্রী অপহরণকারীদের খুজছে পুলিশ। এমনটি দাবি করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাসেল। এদিকে মামলার প্রধান আসামী সাহেল ও তার সহযোগীদের রক্ষা করতে ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বন করছে একটি সক্রিয় গ্রুপ। ইতোমধ্যে নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর ছবি এডিট করে প্রশাসনের নাকের ডগায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ দর্শকের ভূমিকা পালন করছে!
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত স্ক্রিনশট ছবি-সিএনবাংলাদেশ।
‘‘যদিও ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা রয়েছে কোন ধর্ষিতা বা যে কোন নারীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান এবং সম্ভ্রমহানিকর কোন ছবি ভাইরালসহ আপত্তিকর মন্তব্য প্রকাশ করা যাবে না। যে বা যারা এরকম অপরাধে জড়িত থাকবে তারা সকলেই ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি আইনের পরিপন্থিমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকবে। এতকিছুর পরেও প্রশাসনের নাকের ডগায় অপহরণকারীদের বাঁচাতে একদল দুর্বৃত্ত একজন নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে যাচ্ছে। যা আইনের পরিপন্থি। কিন্তু রহস্যজনক হলেও সত্য থানা পুলিশ এসব কর্মকান্ড দেখেও না দেখার ভান করছে।’’
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত স্ক্রিনশট ছবি-সিএনবাংলাদেশ।
এদিকে খুজ নিয়ে জানা গেছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাসেল ৫নং-ফতেহপুর ইউনিয়নের ৭নং- ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মতিনের সহীত বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট (হরিপুর) রেস্টুরেন্টে একটি গোপন বৈঠক করেছেন। তাদের দুইজনের মধ্যে কি আলাপচারীতা হয়েছে তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি প্রতিবেদক’কে জানিয়েছেন অপহরণকারীদের নিয়েই তাদের মধ্যে কি বুঝাপড়া হয়েছে তা স্পষ্ট বুঝা যায়নি।
৫নং-ফতেহপুর ইউনিয়নের ৭নং- ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মতিনের সহীত একান্ত আলাপচারীতায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাসেল, ছবি-সিএনবাংলাদেশ।
সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানিয়েছে, হরিপুর এলাকায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন শীর্ষ চোরাকারবারী সিন্ডিকেট সদস্য । যে কোন সময় তাদের সহযোগীতায় আসামীরা দেশ ত্যাগ করতে পারে। ওই সুত্রটি আরো জানায়, আসামীদের শেল্টার দিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় এলাকার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ও ধনাঢ্য ব্যক্তি। থানা পুলিশও তাদের কথায় নড়চড় হয়না বলে জানিয়েছে সুত্রটি। এসময় সুত্রটি জানায়, গত মাসখানেক পূর্বে বালিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও হরিপুর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সেক্রেটারী-ব্যবসায়ী নঈম উল্ল্যাহ নিখোঁজ হন। পরে তার পরিবারের এক সদস্য জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। বর্তমানেও তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। সেই ঘটনায় হরিপুর বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের গাফলতি আর অনিহার কারনে আজও তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। অপরদিকে সচেতন মহল মনে করেন জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি মহসিন আলী যোগদানের পর থেকে একের পর এক ঘটনা আড়াল হচ্ছে ও আইনশৃংখলার চরম অবনতি ঘটছে।
এসকল বিষয়ে জানতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাসেলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আসামী গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এসময় তিনি বলেন ফেসবুকে ভিকটিমের আপত্তিকর ছবি যদি কেউ পোস্ট করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ আইনানূগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত তিনি দাবি করেন তার নিকট ভিকটিমকে নিয়ে ফেসবুকে ভাইরালের এরকম কোন তথ্য নেই?