
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত কামরুল ইসলাম (১৮) নামের এক যুবক মারা গেছেন। ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ পিতাপুত্রসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দক্ষিন সুরমা উপজেলার নাজির বাজারের ধর্মদা গ্রামের মৃত সিকন্দর আলীর পুত্র মো. ফজর আলী (৫৫), তার ছেলে মো. আব্দুস সামাদ আশরাফ (২৫), মো. সুয়েব মিয়া (২১) ও মো. লায়েক আহমদ (১৮)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নাজিরবাজারের সালাউদ্দিনের মাধ্যমে ৪-৫ মাস পূর্বে ফজর আলীর মেজো ছেলে আল আমিনকে কাতার পাঠানো হয়। সেখানে তার কাজ ও ভিসা নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দেয়। তার সূত্রধরে গত ১ ডিসেম্বর নাজিরবাজারের জবান আলীর মালিকানাধীন বাসায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কামরুল ইসলাম আহত হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান। কামরুলের পিতা বাবুল মিয়া বাদি হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২।
এ বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল ফজল জানান, মামলার প্রেক্ষিতে এসআই লোকমান হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ আসামীদের আটক করে আদালতে প্রেরণ করে।