স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক-পরিচালককে হাইকোর্টে তলব



আদালত প্রতিবেদক :

জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ ও সিসিইউ স্থাপন প্রকল্পের অগ্রগতির প্রতিবেদন জমার আদেশ যথাযথভাবে না মানায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও পরিচালক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আমিনুল হাসানকে তলব করেছে হাইকোর্ট। এমনকি আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে কারণ ব্যাখ্যা দিতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

গতকাল বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বশির আহমেদ।

দেশের সব জেলা সদর হাসপাতালে ৩০ শয্যার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ও করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) স্থাপনে প্রকল্পের অগ্রগতি জানাতে গত ২৮ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। ২৩ অক্টোবরের মধ্যে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও গত ৭ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতিবেদন দাখিল করে।

জানতে চাইলে ডিএজি নুর উস সাদিক বলেন, হাসপাতালগুলোতে সিসিইউ-আইসিইউ থাকা বাধ্যতামূলক। এবিষয়ে জেলা সদরের সরকারি হাসাপতালগুলোর পরিস্থিতি ও পদক্ষেপ জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। যথাসময়ে তারা আদালতে প্রতিবেদন দেয়নি।

“এবিষয়ে আমার সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বারবার ফোন দেওয়ার পরও উনারা (স্বাস্থ্য অধিধপ্তরের কর্মকর্তারা) কোঅপারেট করেন নাই। কাজেই পিটিশনার যে উনাদের পারসোনাল অ্যাপেয়ারেন্স চাচ্ছে এটাতে আমাদের আপত্তি নাই, উনারা আসুক। আপনারা পারসোনাল অ্যাপেয়ারেন্স দেন উনাদের বক্তব্যটা উনারা বলুক।”

রিটকারী পক্ষের আইনজীবী আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, আইসিইউ-সিসিইউ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপ্রাতির বিবরণ ও প্রজেক্ট প্রোফাইল জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা সেটা না করে আগে জমা দেওয়া প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। সেটির সাথে আরেকটি দিয়েছে, যেটিতে তারা লিখেছে- এই প্রকল্প স্থাপন করা মধ্য বা দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্পের মধ্যে পড়ে। মানে এক ধরনের ঔদ্ধত্য তারা দেখিয়েছে। এজন্যই কোর্ট তলব করেছেন।

সেদিন আদালত দেশের সকল জেলা সদর হাসপাতালে ৩০ বেডের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ও করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) স্থাপনে প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে। সে প্রতিবেদন দেখেই আদালত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সংশ্লিষ্ট পরিচালককে তলব করলো।

শেয়ার করুন!