
আদালত প্রতিবেদক :
মোয়াজ্জেম হোসেন। পুরোনো ছবি । নুসরাত জাহান রাফির যৌনহয়রানি সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পিবিআইয়ের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেছে ট্রাইব্যুনাল। আজ সোমবার পুরান ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ কর্মকর্তার আংশিক সাক্ষ্য গ্রহণ করে আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মূলতবি করেছেন।
এদিন এ কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে প্রথম জবানবন্দি দেন। এরপর আসামি সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ জেরা করেন। আংশিক জেরা করার পর আইনজীবী সময় চাইলে বিচারক মঙ্গলবার জেরার পরবর্তীন দিন ধার্য করেন।
সাক্ষ্য গ্রহণকালে (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম সাক্ষ্য গ্রহণের সহায়তা করেন। এর আগে মামলাটিতে বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও নুসরাতের দুই বান্ধবী নাসরিন সুলতানা ফুর্তি ও নিসাত সুলতানাসহ ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলাটিতে গত ১৭ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আসামি মোয়াজ্জেমের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করেন।
মামলায় চলতি বছর ২৭ মে পিবিআইয় দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ১৬ জুন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন গ্রেপ্তার হন এবং ১৭ জুন তাকে একই ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন একই বিচারক। এরপর গত ২৪ জুন এক আবেদনে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাবিধি অনুযায়ী তাকে ডিভিশন প্রদানের আদেশ দেন। প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে কারাবিধি অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির মর্যাদা ভোগ করছেন।
প্রসঙ্গত, অধ্যক্ষ সিরাজ উদদ্দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা তুলে নেওয়ার জন্য গত ৬ এপ্রিল রাফিকে মুখোশ পরা চার থেকে পাঁচজন চাপ প্রয়োগ করলে সে অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে সে মারা যায়। ওই ঘটনার হত্যা মামলায় গত ২৪ অক্টোবর আদালত ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন।