
সিএনবাংলাদেশ অনলাইন :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকি ছয় জনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হন ৭৬ জন যাত্রী।
দুর্ঘটনাস্থলের কাছে বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ে খোলা অস্থায়ী ক্যাম্পে থাকা ১০টি লাশের মধ্যে স্বজনদের কাছে চারটি লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশ হস্তান্তরের সময় প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার করে টাকা দিচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামসুজ্জামান।
নিহত যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের পশ্চিম রাজারগাঁওয়ের মুজিবুল রহমান (৫৫), হবিগঞ্জের ভোল্লার ইয়াছিন (১২), চুনারুরঘাটের তিরেরগাঁওয়ের সুজন আহমেদ (২৪), মৌলভীবাজারের জাহেদা খাতুন (৩০), চাঁদপুরের কুলসুম বেগম (৩০), হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের আল-আমিন (৩০), হবিগঞ্জের আনোয়ারপুরের আলী মোহাম্মদ ইউসুফ (৩২), হবিগঞ্জের বানিচংয়ের আদিবা (২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সোহামনি (৩), চাঁদপুরের উত্তর বালিয়ার ফারজানা (১৫)।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে কসবার মন্দবাগ নামক স্থানে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর তূর্ণা নিশীথা সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার কাজ শুরু করে কসবা, আখাউড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফায়ার সার্ভিস, কসবা থানা, আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ, বিজিবি। ভোর সাড়ে ৫টায় উদয়ন ট্রেনের ছয়টি বগি ফেলে দিয়ে ট্রেনটি মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। পরে আখাউড়া ও লাকসাম রেলজংশন থেকে দুটি রিলিফ ট্রেন দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন দুটি উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
এদিকে, ট্রেন দুর্ঘটনার পর আজ মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, ‘নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আর আহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।’
এর আগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাশ দাফনের জন্য নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।