Sex Cams

পুরুষ ও নারীর বন্ধ্যত্বের কারণ



অনলাইন ডেস্ক/

এক বছর বা তার চেয়ে বেশি সময় একসঙ্গে থাকার পরও যদি সন্তান না হয়, তবে তাকে ইনফার্টিলিটি বলে। পুরুষ ও নারী অথবা উভয়ের সমস্যার কারণে সন্তান ধারণ করতে বিলম্ব হতে পারে।

পুরুষ বন্ধ্যত্বের কারণ

শুক্রাণু তৈরিতে সমস্যা বা শুক্রাণুর কার্যকারিতা কম থাকা শুক্রাণু জায়গা মতো পৌঁছাতে না পারা।

কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে?

** শুক্রাণুর সংখ্যা কম বা শুক্রাণুর গুণাগুণ খারাপ থাকলে

** যৌন সমস্যা যেমন-পুরুষাঙ্গ কম শক্ত হওয়া বা দ্রুত বীর্যপাত ঘটলে

** অণ্ডকোষ বা প্রোস্টেটের কোনো রোগ থাকলে অণ্ডকোষ ছোট, অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়ার সমস্যা থাকলে

** দাড়ি, গোফ কম, নারীদের প্রতি আকর্ষণ কম, পুরুষাঙ্গ পর্যাপ্ত শক্ত না হলে, অণ্ডকোষ বা পুরুষাঙ্গে কোনো অপারেশন করা থাকলে ক্যান্সারের চিকিৎসা নিয়ে থাকলে পরিবারে বন্ধ্যাত্বের ইতিহাস থাকলে

পরিবেশগত কারণ : অতিরিক্ত গরমে কাজ করা, সিগারেট, অ্যালকোহল, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ, ডিপ্রেশনের ওষুধ, কিছু ব্লাডপ্রেসার কমানোর ওষুধ, কেমিক্যাল, কীটনাশক, রেডিয়েশন পুরুষ বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে।

ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য : ক্যান্সার চিকিৎসার কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি পুরুষ বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে।

হরমোন সমস্যা : থাইরয়েড হরমোন, টেস্টেস্টেরন হরমোন, প্রোল্যাক্টিন হরমোন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকে পুরুষ বন্ধ্যত্ব হতে পারে।

নারীদের বন্ধ্যাত্বের কারণ

** ডিম ফুটতে সমস্যা : হরমোনের সমস্যা যেমন পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিন্ড্রোম, প্রোল্যাক্টিন হরমোন বেশি থাকা, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা, ওজন বেশি থাকা এগুলো মাসিকে সমস্যা করে এবং ডিম ফুটতে দেয় না।

** জরায়ুর সমস্যা : জন্মগত জরায়ুর কোনো ত্রুটি বা জরায়ুর টিউমারের কারণে সন্তান নিতে সমস্যা হতে পারে।

** টিউব ব্লক থাকা বা নষ্ট হওয়া : ইনফেকশন বা যৌনবাহিত জীবাণুর কারণে নারীদের টিউব ব্লক হতে পারে, যা বন্ধ্যাত্বের কারণ।

** এন্ডোমেট্রিওসিস : এন্ডোমেট্রিওসিস নামের একটি রোগ যেখানে মাসিকে তীব্র ব্যথা হয় তলপেটে। এ রোগ থেকেও বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।

** ওভারি বা ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা কমে যাওয়া : কোনো কারণে ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা সময়ের আগেই কমে গেলে তা বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে।

কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে?

** এক বছরের বেশি সময় চেষ্টা করেও সন্তান না হলে। বয়স ৩৫ বছরের বেশি হলে ছয় মাস চেষ্টা করেই হরমোন ও বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে।

** মাসিক অনিয়মিত বা বন্ধ থাকলে।

** বারবার বাচ্চা নষ্ট হলে।

** আগে ক্যান্সারের চিকিৎসা নিয়ে থাকলে।

** যথাযথ চিকিৎসা নিলে সন্তান ধারণ সম্ভব।

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. মো. মাজহারুল হক তামিম

হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ,

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল)

শেয়ার করুন!