
নিজস্ব প্রতিবেদক :
গুগল ম্যাপ, ছবি। প্রশাসনের নাকের ডগায় সিলেটের জৈন্তাপুরে প্রকাশ্যে সরকারী হাটবাজার নিলামের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার ৫নং-ফতেহপুর ইউনিয়ন প্রাঙ্গনের সামনে এ হাটবাজার নিলামের হলি খেলা শুরু হয়। এতে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এই বাজার নিলামের ডাকে অংশগ্রহণ করেন।
অথচ বিগত (১৩ ফেব্রুয়ারি) হরিপুর বাজারটি স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ইজারার কাগজাদি সমজিয়ে দিয়ে দেয় একই ইউনিয়নের হেমু হাউদপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে জহির উদ্দিনের নামে। কিন্তু রহস্যজনক কারনে ইজারা প্রদানের নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে তিনি আবার ওই হাটবাজারটি প্রকাশ্যে নিলামে তোলেন জনসম্মূখে। কিন্তু সরকারী নীতিমালা অনুসারে সরকার বাহাদুর হতে যে ব্যক্তি লিজ পেয়ে থাকেন সেই ব্যক্তি কখনও ব্যক্তিস্বার্থে বা টাকার লোভে ফের লিজ প্রদানের কোন এখতিয়ার রাখেন না। এতে তার লিজ বাতিল বলে গণ্য হবে।
সেখানেই শেষ নয় মজার বিষয় হলো জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসে মোট ৩টি টেন্ডার ড্রপ করা হয়। আর তাদের সাথে প্রতিযোগীতা করে ৫৫ লক্ষ টাকার উর্ধ্বে থেকে টেন্ডারটি হাতিয়ে নেন কথিত ব্যক্তি লিজদাতা জহির উদ্দিন। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখা যায় তার অপর দুই সহযোগীও প্রকাশ্যে নিলামে অংশগ্রহণ করতে।
এছাড়াও স্থানীয় এলাকার আরো অনেকে এই নিলামের ডাকে অংশগ্রহণ করেন। নিলামের প্রথমে একটি কাঠামো তৈরি করেন ইউনিয়নের কতিপয় মাতব্বররা। এতে সর্বমোট ১৩টা দল অংশ নেয়। নিলামের প্রথমে তাদের কাঠামো অনুযায়ী দল প্রতি ২৫লক্ষ টাকা হারে অগ্রীম জমা রেখে শুরু হয় বাজার নিলামের হলি খেলা। কেউ কাউকে ছাড়তে নারাজ।
দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া নিলাম গিয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এতে প্রকাশ্যে নিলামে বাজারের নতুন লিজদাতা হন আজির রহমান নামক এক ব্যক্তি। তিনি ১০ কোটি টাকায় হরিপুর বাজার নিলাম করে নেন। অর্ধকোটি টাকার বাজার এখন লাফ দিয়ে আকাশ ছুয়ে গেলো প্রায় ১০কোটি টাকায়। এযেন বাতাসে উড়ছে টাকা!
এবিষয়ে জানতে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা পারভীনের সাথে একাধিকবার মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। অপরদিকে সিলেট জেলা প্রশাসকের সাথে এ নিয়ে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আপনে যা পেয়েছেন তা নিয়ে রির্পোট করেন, আমাকে জিঞ্জাস করলে এব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না।